আসসালামু আলাইকুম।
আমি সফিক, আজকে আমি আপনাদের জানাবো বিদেশগমন সম্পর্কে।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিদেশগমন সম্পর্কে।
সর্বপ্রথম বলে নই আপনাদের যাদের কাছে ভ্যালিড পাসপোর্ট আছে শুধুমাত্র তারাই বিদেশগমন করতে পারবেন। তাই যদি আপনার পাসপোর্ট না থাকে তাহলে আপনার জেলা পাসপোর্ট অফিস থেকে সবার আগে পাসপোর্ট বানিয়ে নিন।
ধরে নিলাম আপনার একটা ভ্যালিড পাসপোর্ট আছে।
পাসপোর্ট পাওয়ার পর সর্বপ্রথম আপনাকে দেশ বাছাই করতে হবে। পৃথিবীর সকল দেশে আপনি এক সাথে যেতে পারবেন না যেমন টা আপনি আপনার ফোনে সকল দেশের মানচিত্র রাখতে পারেন। তাই আপনাকে প্রথম একটা দেশ বাছাই করতে হবে। আপনার যদি ইচ্ছে থাকে আপনি বিশ্বের সকল দেশে যাবেন তাহলে আপনাকে ধারাবাহিক বা ক্রমিক ভাবে তালিকা তৈরি করতে হবে। আপনি যদি তালিকা তৈরি না করেন তাহলে আপনাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। তাই সর্বপ্রথম যদি আপনি তালিকা তৈরি করেন তাহলে আপনার ভ্রমণ হবে সুন্দর ও সহজ।
এখন ধরে নিলাম আপনার তালিকা তৈরি করা শেষ। আর হ্যাঁ অবশ্যই আপনাকে আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি বিদেশ কাজ করতে যাবেন নাকি ঘুরতে যাবেন।
যদি আপনি কাজের জন্য বিদেশ যেতে চান তাহলে এই ব্লগ আপনার জন্য কারণ আজকে শুধুমাত্র লিখবো যারা কাজের জন্য বিদেশ যাবেন তাদের জন্য।
আচ্ছা, সর্বপ্রথম আপনাকে জেনে নিতে হবে আপনি যে দেশে কাজের জন্য যাবেন সেই দেশের ওয়ার্ক পার্মিট ভিজার জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন। চিন্তা করবেন না আপনি পুরো ব্লগটি পড়া শেষে জেনে যাবেন।
আপনি প্রথমে আপনার ভ্যালিড পাসপোর্ট দিয়ে আপানার পছন্দের দেশের ভিজা নেওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনার পছন্দসই দেশ যদি অনলাইন ভিজা আবেদন ওয়েবসাইট থাকে তাহলে খুব সহজে আপনি নিজে অথবা কোন কম্পিউটার দোকান থেকে আবেদন করতে পারবেন। যদি আপনার পছন্দসই দেশ অনলাইন আবেদন উপায়ন্তর না থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে দেশের ভালো এজেন্সি খুজে বের করতে হবে।
প্রথমে একটা লাইসেন্স প্রাপ্ত এজেন্সির সাথে দেশ ও কাজ সম্পর্কে কথা বলুন। আপনি বিদেশ যাওয়ার পর আপনাকে তারা কি কি সুবিধা দিবে এসব সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলুন। বিদেশে কি কাজে নিয়োগ দিবে, কাজের বেতন কতো হবে, থাকা-খাওয়ার দায়বার কার এসব বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবেন। যদি এজেন্সির সাথে আপনার সবকিছুই মন মতো হয় তখন আপনি এজেন্সির সাথে পেপার কন্টাক্ট স্বাক্ষর করবেন।
পেপার কন্টাক্ট স্বাক্ষর করার পর মুটামুটি আপনার কাজ শেষ এখন শুধুমাত্র আপনাকে মানুষিক ও আর্থিক ভাবে প্রস্তুত হতে হবে। আপনার সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে আপনাকে বিমান টিকেট কাটতে হবে। টিকেট থেকে ফ্লাইটের সময় ও তারিখ জেনে নিবেন।
নির্ধারিত সময়ের ২/৩ ঘন্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছে ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করতে হবে।
বাকী টা দ্বিতীয় পর্বে লিখবো।
ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ